আজকের কাশিয়ানী নিউজ ডেস্ক:- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা মামুন মোল্যা। পেশায় তিনি মিষ্টি দোকানের কর্মচারী। ১১ মাস আগে একটি অনুমোদনহীন সমিতি থেকে ৭ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করলেও তার কাছ থেকে আরও ৩৮ হাজার ২০৫ টাকা দাবি করা হচ্ছে।
মামুন মোল্যা ওই টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে কাশিয়ানী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়নগর বাজারে অবস্থিত ‘নিপসিঅ পার্টনার পয়েন্ট’ নামে একটি অনুমোদনহীন সমিতি থেকে ১১ মাস আগে ৭ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মিষ্টি দোকানের কর্মচারী মামুন মোল্যা। দৈনিক কিস্তি হিসেবে এ পর্যন্ত ওই সমিতিকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে এর বাইরে আরও ৩৮ হাজার ২০৫ টাকা দাবি করছেন ওই সমিতির স্বত্বাধিকারী আরিফ খান। মামুন মোল্যা ওই টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন আরিফ খান।
আরপাড়া গ্রামের মির্জা মোল্লা জানান, উপজেলার দস্তন গ্রামের আরিফ খান ‘নিপসিঅ পার্টনার পয়েন্ট’ নামে সমিতি খুলে দীর্ঘদিন ধরে সুদের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এলাকার দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে চড়া সুদে টাকা দিচ্ছেন। নিজের ইচ্ছেমতো সুদের হার নির্ধারণ করে দরিদ্র মানুষকে নিঃস্ব করছেন। শুধু তাই নয়, সমিতির নামে ‘বীমা প্রকল্প’ খুলেও ব্যবসা করছেন। তবে ওই সমিতির কোনো নিবন্ধন নেই বলে জানা গেছে।
মামুন মোল্যা বলেন, ‘ঋণ নেওয়ার পর সুদে আসলে আমার কাছ থেকে ছয়গুণেরও বেশি টাকা দাবি করা হচ্ছে। আমি এত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছি। এ বিষয়ে আমি প্রতিকার চাই।’
এ ব্যাপারে আরিফ খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তার ‘নিপসিঅ পার্টনার পয়েন্ট’ নামে সমিতির কোনো অনুমোদন নেই বলে জানান। তবে তার সমিতি সমবায় আইন মেনেই পরিচালিত হচ্ছে। ৭ হাজার টাকায় ৩৭ হাজার টাকা সুদ দাবি করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’